আপনার ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কে জানুন
১.১ ভূমিকা
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। কৃষি হচ্ছে এ দেশের জাতীয় আয়ের অন্যতম একটি খাত এবং দেশের প্রায় ৪১ শতাংশ মানুষের জীবিকার অবলম্বন (২০১৫-১৬ অর্থবছর অনুযায়ী)। তাই এ দেশের ভূমি ও পানি সম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম।তাই একটি যথাযথ পরিকল্পনা ও নীতির মাধ্যমে এ প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার তথা সীমিত ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার সুনিশ্চিত করা সম্ভব। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয় হতে ভূমি ব্যবহার নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ভূমি সংক্রান্ত সকল কার্যাদি সম্পাদনের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়। বর্তমানে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর, ভূমি সংস্কার বোর্ড, ভূমি আপীল বোর্ড, ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং হিসাব নিয়ন্ত্রক (রাজস্ব) দপ্তর ভূমি মন্ত্রণালয় এর অধীনে কাজ করছে। বিভাগীয় পর্যায়ে কমিশনার, জেলা পর্যায়ে কালেক্টর (জেলা প্রশাসক), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), রেভিনিউ ডেপুটি কমিশনার, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, উপজেলা পর্যায়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি), ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশীলদারগণ) ভূমি সংক্রান্ত কার্যাদি সম্পাদনে নিয়োজিত রয়েছেন। সামগ্রিকভাবে ভূমি মন্ত্রণালয় এর কার্যক্রমকে চারভাগে ভাগ করা যায়। এগুলো হচ্ছেঃ
১। নীতি নির্ধারণী কার্যক্রম;
২। সংস্কারমূলক কার্যক্রম;
৩। উন্নয়নমূলক কার্যক্রম;
৪। মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং কার্যক্রম।
এছাড়াও ভূমি উন্নয়ন কর ও রাজস্ব আদায়, খাস জমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত, জলমহাল ব্যবস্থাপনা, ভূমি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ এবং ভূমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ ইত্যাদি বিষয় মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম হিসেবে গণ্য। ভূমি আইন ও বিধি প্রণয়ন, ভূমিহীন ছিন্নমূল জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন, ভূমি জোনিং কার্যক্রম, উপজেলা ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ ও মেরামত, ভূমি রেকর্ড আধুনিকীকরণ, জনসাধারণকে স্বল্পতম সময়ে ভূমি সংক্রান্ত তথ্যাদি সরবরাহ কার্যক্রম ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক সম্পাদিত হয়।